কুষ্টিয়াঃ মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন, আর মুক্তিযোদ্ধারা বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। খুলনা বিভাগের প্রথম পাক হানাদার মুক্ত হয় একাত্তরের ৪ ডিসেম্বর জেলার খোকসা উপজেলা।
মুজিব বাহিনী রণাঙ্গনের এই কৃতিত্ব খুলনা বিভাগ তথা বাংলাদেশের জন্য এক অনন্য উদাহরণ হয়ে রয়েছে।
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কর্তৃক আয়োজিত স্বল্প পরিসরে ৪ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও প্রীতি ভোজের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের কমান্ডার ও উপজেলা নির্বাহি অফিসার মেজবাহ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈয়দ মোঃ আশিকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল আখতার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র প্রভাষক তারিকুল ইসলাম তারিক, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আরিফুল আলম তসর ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হক।
বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এবং খুলনা বিভাগের প্রথম হানাদার মুক্ত হওয়া খোকসা উপজেলা কে স্বীকৃতি কল্পে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য নির্মাণের দাবি করেন।
বক্তৃতারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ভক্তি ভালোবাসা ও সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।
সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার মন্জের দারোগার উপস্থাপনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জীবিত মুক্তিযোদ্ধা ও মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও সন্তানেরা সহ স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিলজানি দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুল আউয়াল এর পরিচালনায় উপস্থিত সকল মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। .
আগামীনিউজ/নাসির